
অর্থনীতির ৩০ দিন ডেস্ক :
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড-এর নিয়মিত মাসিক নির্বাহী সভা ১ ডিসেম্বর ২০২৫ সোমবার রাজধানীতে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিগত মাসের কার্যক্রম, গ্রাহকসেবা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন, ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন এবং আগামীর ব্যবসায়িক পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির পরিচালক মোস্তফা কামরুস সোবহান, ভাইস চেয়ারম্যান ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম।
সভায় অংশ নেন কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীরা— সিওও মোঃ মঞ্জুর মোর্শেদ, সিআইও হাসিব রেজা। উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— এস এম মহিউদ্দিন ফারুকী, শেখ মোঃ বদিউজ্জামান রিপন, মোঃ আবদুল্লাহিল কাফী, মোঃ গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ মোঃ আজিম, মোঃ তামজিদুল আলম, মোঃ আনোয়ার হোসেন।এ ছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন এজিএমবৃন্দ— মোঃ আশরাফুল আলম, মোঃ ফজলুল হক, মোঃ মিজানুর রহমান, রমজান আলী, মোঃ মনিরুজ্জামান খান, হাক্কানী খন্দকার, শামসুল আরেফিন হক ভুঁইয়া, মোহাম্মদ মহিউদ্দীন, মোঃ হাসানুর রহমান, শাহাদাত মজুমদার, মোঃ মিজানুল করিম।
সভায় আলোচনার মূল বিষয়:
সভার আলোচনায় চলমান ব্যবসা, সেবা কার্যক্রম, দাবি নিষ্পত্তির গতি, ডিজিটাল অটোমেশন, ডেটা সুরক্ষা এবং মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম শক্তিশালীকরণের উদ্যোগ পর্যালোচনা করা হয়। নির্বাহীরা জানান, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স দেশে ডিজিটাল সার্ভিসে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। রিয়েল-টাইম ক্লেইম মনিটরিং, ই-ফাইলিং, স্বয়ংক্রিয় সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম এবং ডেটা অ্যানালিটিক্সের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা আরও দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য করা হচ্ছে। সভায় জানানো হয়, আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার কারণে কোম্পানি বিগত কয়েক বছরে একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এগুলোকে প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রার বড় শক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
ভাইস চেয়ারম্যান ফৌজিয়া কামরুন তানিয়ার বক্তব্য :
সভায় ভাইস চেয়ারম্যান ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া দেশের শহীদদের স্মরণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং বলেন— “স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো মানে দায়িত্বশীলতার পথে এগিয়ে যাওয়া। সোনালী লাইফ মানুষের ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় যে ভূমিকা পালন করছে, তা যেন আরও শক্তিশালী হয়—এটাই আমাদের লক্ষ্য।”
তিনি আরও বলেন— “সোনালী লাইফকে দেশের বীমা খাতের একটি মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে ধরে রাখতে হলে সবার সর্বোচ্চ নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব এবং কর্মদক্ষতা প্রয়োজন। ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি স্বচ্ছতা, প্রযুক্তি ও গ্রাহকসেবার মান আরও উন্নত করতে আমরা সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।” তার বক্তব্য উপস্থিত নির্বাহী ও কর্মকর্তা-কর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
সভায় আগামী দিনের পরিকল্পনা হিসেবে গ্রাহকসেবা উন্নয়ন, ডিজিটাল অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ, নতুন বীমা পণ্য প্রবর্তন, মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
সভা শেষে পরিচালনা পর্ষদ ও নির্বাহীরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সোনালী লাইফকে আরও আধুনিক, স্বচ্ছ ও গ্রাহকবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।




















