প্রিমিয়ার ব্যাংক ও কর্মকর্তাদের সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা

অর্থনীতির ৩০ দিন প্রতিবেদক :
অর্থ পাচার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রিমিয়ার ব্যাংক ও কয়েকজন কর্মকর্তার ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। ব্যাংককে জরিমানা করা হয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ এবং কর্মকর্তাদের ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
তদন্তে দেখা গেছে, ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবাল ও পরিবারের সদস্যরা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বিদেশে সম্পদ কিনেছেন এবং সীমাতিরিক্ত লেনদেন করেছেন। এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন সাবেক এমডি এম রিয়াজুল করিম, বর্তমান এএমডি সৈয়দ নওশের আলী, বনানী শাখার সাবেক অপারেশন ম্যানেজার মনিরুল করিম লিটনসহ কয়েকজন কর্মকর্তা।
বিএফআইইউ জানিয়েছে, নিয়মবহির্ভূতভাবে আরএফসিডি হিসাব খোলা, বৈদেশিক মুদ্রা স্থানান্তর ও সন্দেহজনক লেনদেন না জানানোসহ ৫টি আরএফসিডি হিসাব ও ১৮টি ক্রেডিট কার্ডে অনিয়মের জন্য ব্যাংককে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া এক লাখ ডলার অন্য গ্রাহকের হিসাব থেকে ইকবাল পরিবারের হিসাবের মধ্যে স্থানান্তরের ঘটনায় আলাদা এক কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ব্যক্তিগতভাবে সাবেক এমডি রিয়াজুল করিম ও এএমডি সৈয়দ নওশের আলীকে ৩০ লাখ করে, বনানী শাখার সাবেক কর্মকর্তা মনিরুল করিম লিটনকে ২২ লাখ, এবং ক্রেডিট কার্ড বিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের প্রতি জনকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ২২ বার নিয়ম ভঙ্গ করে কার্ড সীমা বাড়ানোর ঘটনায় জাকির হোসেন জিতুকে ২২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বিএফআইইউ জানিয়েছে, ব্যাংকের ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় এই জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। আগামী রোববারের মধ্যে জরিমানার টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা না দিলে ব্যাংকের হিসাব থেকে তা কেটে নেওয়া হবে।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ইকবাল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ১৮টি আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ও ৪টি প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার করে ৩২ লাখ ৫০ হাজার ডলার খরচ করেছেন, যা অনুমোদিত সীমার বাইরে।